ব্যাপারটা শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে কিন্তু তত সহজও নয়। আপনার অন্য কারো চিন্তাভাবনায় প্রবেশ করার আগে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি তার সঙ্গে কতটুকু কানেক্টেড বা সে আপনার উপর কতটুকু নির্ভরশীল।
আপনি যদি তার সঙ্গে কানেক্টেড না থাকেন তাহলে কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
ধরুন, আপনি যে ফোনটি ব্যবহার করেন তা একদিনের জন্য আপনার কাছে নেই। এই বার ভাবুন, সারাদিনে আপনি কতবার ফোনের কথা চিন্তা করবেন। কিন্তু যখন আপনার কাছে ফোন আছে আপনি কতবার চিন্তা করেন ফোনের কথা।
আমার মনে হয় মানুষের ব্যাপারটাও এমনি মনে হয়, যতক্ষণ আপনি তাদের কাছে আছেন বা তাদের পাশে আছেন তারা কোনভাবে আপনাকে চিন্তা ভাবনায় রাখবেনা।
যখন আপনি সরে যাবেন তখনই আপনি তাদের চিন্তাভাবনায় থাকতে পারবেন। তাই আমি বলবো হঠাৎ করে আপনি দূরে সরে যেতে পারেন।
আপনি কারো চিন্তাভাবনায় থাকার জন্য তাকে কোন কিছু গিফট করতে পারেন। কারণ আমরা সবাই গিফট খুব পছন্দ করি।
স্বাধীন থাকার চেষ্টা করুন সব সময়। নিজের মতো করে চলাফেরা করার চেষ্টা করুন। সব সময় কি আর কথা বলার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে কোন প্রকার কনফিউশন রাখবেন না যেটা করতে চান সেটা করুন যেটা করতে চান না সেটা কখনোই করবেন না।
কারন এ ধরনের মানুষ পৃথিবীতে খুব কম হয় আর এই ধরনের মানুষকে সবাই ভাবতে ভালোবাসে। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন নিজের আত্মসম্মানকে বাঁচিয়ে চলুন।
ধন্যবাদ আশাকরি উক্ত ব্যাপারগুলোই একজন মানুষকে মানুষের চিন্তাভাবনায় ঢোকার জন্য যথেষ্ট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।